আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): এ সিদ্ধান্ত ইরান–বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং ইরান সরকারের “অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় আস্থা” নীতির প্রতিফলন হবে আশা করা যায়।
ইরানের পররাষ্ট্র নীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ইরানের আঞ্চলিক কূটনীতিতে “অন্তর্ভুক্তির নরম শক্তি” (Soft Power of Inclusion) হিসেবে কাজ করতে পারে।
ড. জাহানআবাদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি কেবল সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নন, বরং পুরো ৯ কোটি ইরানির প্রতিনিধি ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ হানাফি মাযহাবের অনুসারী এবং ড. জাহানআবাদিও একই মাজহাবের অনুসারী। এই মিলকে তেহরান ও ঢাকার মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক বোঝাপড়ার নতুন ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা “বাংলাদেশের মতো হানাফি প্রধান দেশে একজন সুন্নি রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি দুই দেশের আস্থার সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশাবদি।”
ইরানের নীতিনির্ধারক ও মুসলিম বিশ্ববিষয়ক গবেষকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে— “ড. জাহানআবাদির দক্ষ কূটনীতি ও প্রজ্ঞাপূর্ণ নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নৈকট্যের ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
Your Comment